04 February 2018

আমাদের যে দিন গিয়েছে চলি

হাজার বছরের চেনা এই চাঁদ। 
তবু কেন যেন চিনি না তারে,
উচ্ছাসে ভাঙে না বাঁধ।
রূপলী আলো স্নিগ্ধ করে না প্রাণ,
ছরকি বুড়িও ভুলে গেছে গান।
নীল আকাশে তুলোমেঘ,
দিক হারিয়ে অজানার পথে ছোটে।
কোথায় গেলে তারে পাই? তারে পাই কোন মাঠে?

আমাদের যেদিন গিয়েছে, তা কি একেবারেই গিয়েছে?
সোনালী ধানের ক্ষেতে এলোবাতাস এখনো দোল দিয়ে যায়
শুধু হয়না আমাদের হেয়ালী হাঁটা, হাতে রেখে হাত।
আমাদের যা ছিল তার কিছুই কি বাঁকি নাই?
শিমুল, পলাশ একনো ফোটে, হাসনাহেনার গন্ধে ভরে বুক।
শুধু হয়না বলা গল্পগুলো, চোখে রেখে চোখ।


কতনা আগুন ঝারা দূপুর কেটেছে সাঁতরে বীলের জলে
কখনোবা মাঠ পেরিয়ে, সবুজে ঘেরা কৃষ্ণচূড়ার তলে।
বিকেল বেলায় স্নিগ্ধ আলোয় রাঙ্গা তোমার মুখ
এই জীবনে তাহার চেয়ে নেই যে বড় সুখ।
তোমার কাজল কাল দিঘীর মত চোখ।
দৃষ্টি তুলে দেখতে যখন,
শীতল জলের ঝরনা হয়ে
গুছিয়ে দিত দুখ।

তোমার আপন করা মায়াবি মুখখানী,
কিযে মাতাল করে, আমিই শুধু জানি।
শরত এলেই কাঁশ বন
ভরে যেত ফুলে
কপল তোমার ছুঁয়ে দিতাম কত রকম ছলে।

যে ছন্নছাড়া, বাঁধন হারা, কল্পলাষী বালক
কেনই তারে করেছিলে মনবীনার চালক?
যাবেই যদি আসলে কেন
ভাসাতে মোর নাও?
একলা তরি
বীলের জলে আছড়ে পড়ে
শুনতে তুমি পাও?
এখনো দেখ বর্ষা আসে, শাপলা ফোটে, বুলবুলিটা গায়।
তুমি বিহীন বীলের পাড়ে হৃদয় ভেঙে যায়।