04 November 2015

ডিজিটাল বাংলাদেশ, একটি আইডিয়া

দৃশ্য ১: মাহীন ছাত্র। তার বাসা ক্যাম্পাস থেকে অনেক দূরে, যার কারনে সে দুপুরে লাঞ্চ করতে বাসায় যেতে পারে না। সে ক্যাফেটেরিয়া বা ক্যাম্পাসের আশেপাশের হোটেলগুলোতে দুপুরে লাঞ্চ করতে যায়। ক্যাপেটেরিয়া বা আশেপাশের হোটেলগুলোতে খাবারের দাম অনেক বেশি। সে যেহেতু মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে এই বাড়তি খরচ তার জন্য একটা সমস্যা।



দৃশ্য ২: জরিনার মা দরিদ্র মহিলা, থাকেন মাহীনের ক্যাম্পাসের পাশের গ্রামে। ৩টা ছেলেমেয়ে নিয়ে তাঁর সংসারে টানাটানি। মোটামুটি মানের কোন রোজগার তাঁর জন্য অনেক বড় উপকার হতে পারে। তিনি রান্নায় বেশ ভাল এবং রান্না করতে পছন্দ করেন। কিন্তু সামাজিক পারিপার্শিকতা এবং নিজের স্বাধীনচেতা মনভাবের কারনে তিনি বুয়ার কাজ করতে রাজি নন।

উপরে বর্ণীত এই দুটি দৃশ্য কারো কারো পরিচিত। এই দুটি দৃশ্যকে এক করে একটা ফ্যান্টাস্টিক সমাধান নিয়ে আসতে পারে সিম্পল একটি মোবাইল অ্যাপ। যেমনঃ-

জরিনার মা আজকে একটু বাড়তি রান্না করেছেন। দুইজন অতিরিক্ত মানুষ চাইলে অনায়াসে সে খাবার খেতে পারবে। তিনি এই বাড়তি খাবার দু'টি বক্সে ঢুকিয়ে, তাঁর সল্পমূল্যের মোবাইল থেকে ২ লিখে ১০১০১ নম্বরে একটা এসএমএস পাঠিয়ে দিলেন। এসএমএস পৌঁচে গেল একটা নির্দিষ্ট সার্ভারে।
মাহীনের মোবাইলে একটি মোবাইল অ্যাপ ইন্সটল করা আছে সেখান থেকে সে খুঁজে পেল পাশের গ্রামের জরিনার মা আজকে দুইজনের খাবার বেশি রান্না করেছেন। মাহীন সল্পমূল্যে আজকের দুপুরের লাঞ্চটা কিনে নিল জরিনার মা'র কাছ থেকে।

এই একই আইডিয়া জেনারালাইজ করা যাবে অন্যান্য ক্ষেত্রেও। ঢাকা শহরে কিছু কিছু জায়গায় চুক্তি ভিত্তিক বক্সে করে খাবার দিয়ে যায় অনেক মেসে। সেখান এই অ্যাপ কাজে লাগানো যাবে।