সবুজ আর মায়াবী ছায়ায় ঢেকে আছে প্রকৃতি। গ্রামের পথ বয়ে গেছে বহুদূর। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ধান, পাট, শরিষা, আরো কত ফসলের মাঠ। এরি মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ছাতারপাইয়া উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির পরিবেশ আর শিক্ষক-শিক্ষিকারাই একে করেছেন আর দশটি বিদ্যালয় থেকে স্বতন্র। সবুজে আচ্ছাদিত এই বিদ্যালয়ের সম্মুখে রয়েছে সুবিশাল দিঘী। বর্ষা এলেই কানায় কানায় ভরে উঠে। গ্রামের শান্ত পরিবেশ আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য শিক্ষার্থীদের মননিবেশের পরম সহায়ক। এখানে ফাগুন এলেই ফুল ফুটে, পাখী গায়। বসন্তে পত্র ঝরে, প্রজাপতি পাখা মেলে। শীতের হিমেল হাওয়ায় শীর লাগে গায়ে। নবান্নে পিঠে খাওয়ার ধুম। স্কুল মাঠে কখনো বসে মেলা। ছোটছোট ছেলেমেয়ের ছুটোছুটি, চরকা চলে ঐ। এমন এক স্বপ্নময় পরিবেশেই এখানে বড় হয় আগামীর প্রজন্ম। মেধা আর মননে বিকশীত নিবেদিত প্রাণ শিক্ষকরা নিরলস করে যাচ্ছেন জ্ঞানের বিতরণ। বাবার স্নেহে আর মায়ের মততায় গড়ে চলেছেন শিক্ষার্থীদের ভবিশ্যৎ।
১৯৫৯ সালে ছাতারপাইয়া, কালারাইতা আর সোনাকান্দি গ্রামের মিলন স্থলে, সবুজের বুক চিরে আলোর বার্তা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় এই অঞ্চলের অন্যতম পু্রোনো এই বিদ্যালয়টি। স্থানীয় জনগণের উদ্যোগ ও সহায়তায় ২৭৬ নং সোনাকান্দি মৌজার ১২৩ ও ১২৪ নং দাগে বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠা। কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এমপিও ভুক্ত এই বিদ্যালয়ে রয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রও। নোয়াখালীর সেনবাগ থানার অন্তর্গত এ বিদ্যাপীঠে বর্তমানে ৬টি শ্রেনিতে প্রায় হাজার শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করছে। এই বিদ্যালয়ের রয়েছে ঐতিহ্য আর সুপরিচিতি। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন সেক্টরে রেখেছেন সফলতার সাক্ষর। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, ব্যাংকার, সাহিত্যিক সহ অনেক পেশাই করেছেন অলংকৃত। আগামীকে আরো সুন্দর আরো সাফল্যমন্ডিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।