"বাবা বলে ছেলে নাম করবে
সারা পৃথিবী তাকে মনে রাখবে।
শুধু এই কথা কেউ জানে না
আগামী দিনের ঠিকানা।।"
গ্রামের সেই মোখলেস, যাকে সবাই বলতো হোপলেস, সেই হয়ে গেল অসামান্য কোন ব্যাক্তিত্ব। আর সেই আঁতেল ছেলেটা যাকে সবাই মনে করতো একদিন ঠিক বিদ্যাসাগর হবে, সে হয়ে গেল আমড়া কাঠের ঢেঁকি। অথবা সেই স্মার্ট ডুড, যার ঠেলায় ক্লাসে টেকা যেত না, সে হয়ে আছে ক্যারানি।
সত্যিই আমরা কেউ জানিনা ভবিশ্যতে কি হবে। আজ হতে দশ বছর পরে এই পৃথিবী দেখতে কেমন হবে তা কেউই বলতে পারে না। সেই অনিশ্চিত পৃথিবীর জন্য প্রস্তুত হতে আমরা স্কুল শিক্ষা গ্রহন করি, এবং শিক্ষা নিয়ে আমাদের এত আগ্রহ। শিক্ষার কাজ হচ্ছে আমাদের ভবিশ্যতের অনিশ্চয়তা দূর করা। যে জিনিশগুলো আমাদের মনের খুব গভীরে দাগ কাটে তার মধ্যে শিক্ষা অন্যতম। কিন্তু আমাদের স্কুল শিক্ষা কি সত্যিই ভবিশ্যতের অনিশ্চয়তা দূর করছে?
প্রত্যেকটা শিশুর অসাধারন ক্ষমতা আছে নতুন কিছু করার। আমরা সেই ক্ষমতাকে নিঃশেষ করে দেই স্কুল শিক্ষা দিতে গিয়ে। সফলতার অন্যতম অংশ সৃজনশীলতা---অভিনব কিছু করতে পারা। সৃজনশীলতার গুরুত্ব বিদ্যা-শিক্ষার মতই সমান গুরুত্বপূর্ণ।
একটা ছোট শিশুকে বলুন তার ইচ্ছে মত কিছু একটা করেতে। সে যদি না জানে কি করতে হবে, বা কিভাবে করতে হবে, তাও সে একটা কিছু করে দেখাবে আপনাকে। এবং সেটা হবে সম্পূর্ণ নতুন কিছু যা আপনি কখনো দেখেননি---হয়তো মজার নয়তো প্রিকুলিয়ার। তারা ভুল করতে ভয় পায় না। আমি বলছি না ভুল করাটা সৃজনশীলতা, কিন্তু ভুল না করে কেউ সৃজনশীল হতে পারে না। আমাদের স্কুল শিক্ষা শিশুদের সৃজনশীলতা হওয়ার সেই ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। তারা ভুল করতে ভয় পাওয়া শুরু করে।
আমাদের স্কুল ‘ভুল’ করাটাকে লজ্জা হিসেবে শিক্ষা দেয়। আমাদেরকে শেখানো হয় ভুল করাটা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ জিনিষ। এর ফলাফল হচ্ছে, আমাদের শিশুরা সৃজনশীলতা সম্পূর্ণ হারিয়ে স্কুল শিক্ষা নিয়ে বের হয়ে আসে। সকল শিশুই একজন বিজ্ঞানী হয়ে, একজন শিল্পী হয়ে জন্মায়। তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বড় হয়ে সেটা ধরে রাখতে পারা। স্কুল শিক্ষা নিতে গিয়ে তারা সেটা হারিয়ে ফেলে।
আমাদের বাবা-মাদের জানা পৃথিবীর অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমরা যেই স্কুল শিক্ষার উপর দাঁড়িয়ে আছি, এই পৃথিবী সেখান থেকে বহু দূর সরে গেছে। আগে যার একটা ডিগ্রি ছিল তার চাকরি ছিল। এখন কয়েক ডজন ডিগ্রি নিয়ে মানুষ চাকরি খোজে। নতুন এই পৃথিবীতে সৃজনশীলতার গুরুত্ব অপরিসীম। মার্ক জাকারবার্গ, স্টিভ জবস, বিল গেটসরা এই নতুন পৃথিবীর আইকন। সৃজনশীলতাই এদের পুঁজি, তথা কথিত কিছু ডিগ্রি নয়। এই পৃথিবীর জন্য তৈরি করতে আমাদের শিশুদের সৃজনশীল করে গড়ে তুলতে হবে। তাদের শেখাতে হবে যেন তারা ভুল করতে ভুল না করে।
সারা পৃথিবী তাকে মনে রাখবে।
শুধু এই কথা কেউ জানে না
আগামী দিনের ঠিকানা।।"
গ্রামের সেই মোখলেস, যাকে সবাই বলতো হোপলেস, সেই হয়ে গেল অসামান্য কোন ব্যাক্তিত্ব। আর সেই আঁতেল ছেলেটা যাকে সবাই মনে করতো একদিন ঠিক বিদ্যাসাগর হবে, সে হয়ে গেল আমড়া কাঠের ঢেঁকি। অথবা সেই স্মার্ট ডুড, যার ঠেলায় ক্লাসে টেকা যেত না, সে হয়ে আছে ক্যারানি।
সত্যিই আমরা কেউ জানিনা ভবিশ্যতে কি হবে। আজ হতে দশ বছর পরে এই পৃথিবী দেখতে কেমন হবে তা কেউই বলতে পারে না। সেই অনিশ্চিত পৃথিবীর জন্য প্রস্তুত হতে আমরা স্কুল শিক্ষা গ্রহন করি, এবং শিক্ষা নিয়ে আমাদের এত আগ্রহ। শিক্ষার কাজ হচ্ছে আমাদের ভবিশ্যতের অনিশ্চয়তা দূর করা। যে জিনিশগুলো আমাদের মনের খুব গভীরে দাগ কাটে তার মধ্যে শিক্ষা অন্যতম। কিন্তু আমাদের স্কুল শিক্ষা কি সত্যিই ভবিশ্যতের অনিশ্চয়তা দূর করছে?
প্রত্যেকটা শিশুর অসাধারন ক্ষমতা আছে নতুন কিছু করার। আমরা সেই ক্ষমতাকে নিঃশেষ করে দেই স্কুল শিক্ষা দিতে গিয়ে। সফলতার অন্যতম অংশ সৃজনশীলতা---অভিনব কিছু করতে পারা। সৃজনশীলতার গুরুত্ব বিদ্যা-শিক্ষার মতই সমান গুরুত্বপূর্ণ।
একটা ছোট শিশুকে বলুন তার ইচ্ছে মত কিছু একটা করেতে। সে যদি না জানে কি করতে হবে, বা কিভাবে করতে হবে, তাও সে একটা কিছু করে দেখাবে আপনাকে। এবং সেটা হবে সম্পূর্ণ নতুন কিছু যা আপনি কখনো দেখেননি---হয়তো মজার নয়তো প্রিকুলিয়ার। তারা ভুল করতে ভয় পায় না। আমি বলছি না ভুল করাটা সৃজনশীলতা, কিন্তু ভুল না করে কেউ সৃজনশীল হতে পারে না। আমাদের স্কুল শিক্ষা শিশুদের সৃজনশীলতা হওয়ার সেই ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। তারা ভুল করতে ভয় পাওয়া শুরু করে।
আমাদের স্কুল ‘ভুল’ করাটাকে লজ্জা হিসেবে শিক্ষা দেয়। আমাদেরকে শেখানো হয় ভুল করাটা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ জিনিষ। এর ফলাফল হচ্ছে, আমাদের শিশুরা সৃজনশীলতা সম্পূর্ণ হারিয়ে স্কুল শিক্ষা নিয়ে বের হয়ে আসে। সকল শিশুই একজন বিজ্ঞানী হয়ে, একজন শিল্পী হয়ে জন্মায়। তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বড় হয়ে সেটা ধরে রাখতে পারা। স্কুল শিক্ষা নিতে গিয়ে তারা সেটা হারিয়ে ফেলে।
আমাদের বাবা-মাদের জানা পৃথিবীর অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমরা যেই স্কুল শিক্ষার উপর দাঁড়িয়ে আছি, এই পৃথিবী সেখান থেকে বহু দূর সরে গেছে। আগে যার একটা ডিগ্রি ছিল তার চাকরি ছিল। এখন কয়েক ডজন ডিগ্রি নিয়ে মানুষ চাকরি খোজে। নতুন এই পৃথিবীতে সৃজনশীলতার গুরুত্ব অপরিসীম। মার্ক জাকারবার্গ, স্টিভ জবস, বিল গেটসরা এই নতুন পৃথিবীর আইকন। সৃজনশীলতাই এদের পুঁজি, তথা কথিত কিছু ডিগ্রি নয়। এই পৃথিবীর জন্য তৈরি করতে আমাদের শিশুদের সৃজনশীল করে গড়ে তুলতে হবে। তাদের শেখাতে হবে যেন তারা ভুল করতে ভুল না করে।