আমি বনপথিক, হাজার বছর ধরে খুঁজিয়া বেড়াই তারে।
সাজাইয়া রঙ্গীন ডালি, বিকশিত সৌরভে,
এই বনের মালতি, কাঞ্চন, দোপাটি তাহারি প্রতীক্ষায় প্রহর গোনে।
সূর্য ঢালিছে কিরণ, দেখাইতে পথখানী তারে।
মেঘমালা উড়িয়া চলিছে, ছায়া হইতে তপ্ত দুপরে।
পাখপাখালীর সভা চলে, শোনাইতে তারে ছন্দ।
দক্ষিণা সমীরণ ব্যস্ত ছোটে, বিলাইতে তারে গন্ধ।
পথ চলিতে চলিতে হঠাৎ দেখি তারে, বালিকা হরিণী।
কি মায়াবী দুটি চোখ, কি গভীর তাহার চাহনী।
স্বপনে শুধু দেখি তারে, এ জীবনে কেন পাই না!
এমন চোখে চোখ রেখে, চোখ সরানো যায় না।
শীতের মিষ্টি রোদের ন্যায় তাহার হাঁসি
উষ্ণতা জাগায়, আরো পেতে ভালবাসি।
মুখখানী তাহার, আঁকা ছবি যেন
মাঝে মাঝে দেখি তারে, চিরদিন নয় কেন!
কত সহজে আপন করে নেয়, কেমন করে পারে!
কি জাদু জানে সে, কি মায়া তার মাঝে?
কি ঘোর লাগলো আমার, দেখিতে চাই তারে,
সরাক্ষন, সারাদিন, সকাল-দুপুর-সাঁজে।
রূপ তাহার স্নিগ্ধতা ছড়ায়, জুড়ে সারা বন।
অচীন বনে খুশির আমেজ, জেগেছে এ মন।
স্পর্সে তাহার বিদ্যুৎ খেলে, শিহরণ জাগে।
কখনো কি ভেবেছে সে, তাহার পাশে
ঐ রূপোলী চাঁদটাকে কেমন অসহায় লাগে।