আর্টিফিসিয়াল
ইন্টিলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত
বিষয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অবিশ্বাস্য রকমভাবে সমাজকে বদলে দিয়ে অসামান্য
অবদান রাখতে পারে দেশ, জাতি
ও মানবতার কল্যানে। ড্রোন, রোবট, চালকবিহীন গাড়ি এসবের মূলে রয়েছে কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তা।
মেশিনকে
মানুষের মতো বুদ্ধিমান করে
তোলার যে গবেষণা সেটিই
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণা। শিক্ষণ, যুক্তি, পরিকল্পনা, সমস্যা সমাধান, মানুষের ভাষা বোঝার ক্ষমতা,
উপলব্ধি এসবন হচ্ছে কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তার অংশ। কম্পিউটার টেকনোলজি
ছাড়াও মার্কেটিং, ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, রিসার্চ, আটোমোটিভ, ব্যাংকিং, স্বাস্থ্য, টেলিকমিউনিকেশন সহ আরও অনেক
ক্ষেত্রে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার রয়েছে।
উন্নত
বিশ্বের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তা নিয়ে নানা রকম
গবেষণা হচ্ছে। বিশ্বের সাথে খাপ খেয়ে
চলার জন্য বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলকেও
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে উন্নত মানের
গবেষণা পরিচালনা করতে হবে। বাংলাদেশে কিছু
কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বল্প
পরিসরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে
কিছু গবেষণা হলেও বিশ্বের সাথে
প্রতিযোগিতায় আসার মত গবেষণা
এখনো শুরু হয়নি।
কুমিল্লা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌগলিক অবস্থান, ছাত্রছাত্রীদের প্রাণউদ্যোম, একঝাক তরুণ মেধাবী শিক্ষকদের
মিলনমেলা, এবং বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশাসন থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ
করার আগ্রহ এই বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়েছে
এক অনন্য অবস্থান এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
নিয়ে গবেষণা করার উপযুক্ত পরিবেশ।
সরকার
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণার ব্যাপারে
বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে এবং
এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। বাংলাদেশের
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
বিভাগ ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স
(এআই) কৌশলপত্রের প্রাথমিক খসড়া প্রস্তুত করেছে,
যা বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
আমি
স্বপ্ন দেখি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশ এবং বিশ্বে কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক গবেষণাকে নেতৃত্ব দিবে এবং এই
বিষয়ে সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহযোগিতা
করবে।
-ড. মোঃ আবুল বাসার
-ড. মোঃ আবুল বাসার
সহকারী
অধ্যাপক ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
গবেষক
কম্পিউটার
বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ
কুমিল্লা
বিশ্ববিদ্যালয়